সাগরিকার পাড়ে লিটন দাসের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। দৃষ্টিনন্দন সব শটে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন গ্যালারিতে থাকা দর্শকসহ টিভির সামনে বসে থাকা ভক্তদেরও। একের পর এক বাউন্ডারিতে বিপর্যস্ত করেছিলেন আফগান বোলারদের। সফরকারীদের দিশেহারা করে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক।
আর তাতেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। ম্যাচ শেষে লিটন তার সফলতার রহস্য উন্মোচন করলেন। জানিয়েছেন টিকে থাকার মানসিকতায় সংকল্পবদ্ধ থেকে তিনি রানের দেখা পেয়েছেন, দলকে এনে দিয়েছেন বড় পুঁজি।
লিটন বলেন, ‘যে জিনিষটা মাথায় ছিল সবসময়, ওয়ানডে ফরম্যাটে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে কমপক্ষে ৩৫ ওভার পর্যন্ত খেলা। যদি আমি খেলতে পারি তাহলে আশির বেশি রানে চলে যাবো। এই জিনিষটা আমার মাথায় ছিল, যাতে ইনিংসটা বড় করা যায়।’
শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করে। ১২৬ বলে ১৩৬ রান করেন সর্বোচ্চ। এ ছাড় ৮৬ রান করেন মুশফিকুর রহিম। রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ২১৮ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশ জিতে ৮৮ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংস গড়েছেন লিটন-মুশফিক। দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২০২ রান। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছিল ১৭৮, তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমের, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আজ এটি ভেঙে নতুন কীর্তি গড়েন দুজনে।
মুশফিকের সঙ্গে জুটি নিয়ে লিটন বলেন, ‘এটাতো আনন্দদায়কই। উনার সঙ্গে আমার অনেকগুলো জুটি আছে অলরেডি। উপভোগ করেছি অবশ্যই।’
২৮ ফেব্রুয়ারি সিরিজের শেষ ম্যাচটি ওয়ানডে সুপার লিগে এগিয়ে থাকার জন্য বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের জয়ে ইতোমধ্যে সবার উপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।